Feedjit Live

This is default featured post 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Tuesday, September 20, 2011

 অর্থনীতি সামাল দিতে পারছে না সরকার

শওকত হোসেন ও মনজুর আহমেদ

মহা দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার। বরং দাতাদের শর্ত মেনে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির হার নিয়ে সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এতে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা নিয়ে তৈরি চাপ কিছু কমলেও সংকট বাড়বে সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় মূল্যস্ফীতির চাপ আরেক দফা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, ইতিমধ্যেই মূল্যস্ফীতির একটি দুষ্টচক্রে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশ। শিগগির এখান থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না। এ পরিস্থিতিতে আগামী দিনে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় সমস্যা থেকেই যাবে।
সম্পদ কোথা থেকে আসবে, তা বিবেচনা না করেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, কম দামে সেচসুবিধা ও সার প্রদান, মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে বাঁচাতে কম মূল্যে চাল বিতরণ এবং বর্তমান মেয়াদেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। এতে ব্যয় বেড়েছে অনেক। কিন্তু এখন ব্যয় ব্যবস্থাপনা করতে পারছে না সরকার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতেই মূলত সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দিয়েই ওই রাতেই অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ১৪ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোসহ কয়েক দফা সুপারিশসংবলিত একটি প্রতিবেদন সরকারকে দিয়েছে। আর সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর।
এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ আবারও মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে। আইএমএফ মনে করে, এতে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে। তবে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখন যে পর্যায়ে চলে গেছে তাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে না চাহিদা বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, তা আর এভাবে পৃথক করা যাবে না। কেননা, একটা পর্যায়ে উঠে গেলে এটা আর আলাদা করা যায় না। ফলে আমরা একটা দুষ্টচক্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছি বলা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে বাজেট পর্যালোচনার কথা বলেছেন। কিন্তু আমার মনে হয় পর্যালোচনার সময়টা আরও একটু এগিয়ে এনে ব্যয় সাশ্রয়ের সময় এসেছে।’
অর্থবছরের শুরুতেই সংকট: নতুন অর্থবছরের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন খাতে দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আয়-ব্যয়ে তৈরি হচ্ছিল ভারসাম্যহীনতা। রাজস্ব আদায় এবং রপ্তানি আয় বাড়লেও সে তুলনায় সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ বেশি। এতে এক দিকে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমছে, ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়াও বেড়েছে। সব মিলিয়ে চাপের মধ্যে আছে সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এ তসলিম বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছিলাম যে, সরকারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ঝামেলা আছে। কিন্তু সরকার এটা আমলে নেয়নি। উপরন্তু অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে নিয়েছে। এতে একটা লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছে।’
রাজস্ব আয়ের চেষ্টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু ঘাটতি মেটাতে তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে সম্পদের জোগান পেতে ঋণ করার বিকল্প নেই। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ আগের অর্থবছরেই ৩০ শতাংশ কম হয়েছে। পদ্মা সেতুর কাজ করার আগেই দুর্নীতির অভিযোগসহ টানাপোড়েনের কারণে এবারও পর্যাপ্ত বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। ফলে ভরসা এখন অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণ ততটা সফল হয়নি। ফলে সরকার ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিচ্ছে। এতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সরকারের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। সরকার বেশি ঋণ করায় বেসরকারি খাতের ঋণের জোগান কমে সুদের হার বেড়ে যাচ্ছে।
অধ্যাপক এম এ তসলিম বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা উঠলেই সরকার খালি বলে প্রবৃদ্ধি তো ভালো হচ্ছে। কিন্তু জিডিপির প্রবৃদ্ধি একটা উপাদান মাত্র। আর এই প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে হবে। এ জন্য পরিকল্পনা করে বছর ভিত্তিতে অর্জন ধরে রাখতে হবে। ঋণের টাকায় এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কতটা সম্ভব, তা সামনের দিনগুলোতে বোঝা যাবে।’
শুরুতেই ব্যাংকঋণ: বড় অঙ্কের ধার দিয়েই বছরটি শুরু হয়েছে সরকারের। সূত্র জানায়, গত ২১ আগস্ট পর্যন্ত সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ করেছে পাঁচ হাজার ২২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার নিয়েছে দুই হাজার ৮৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রি করে তুলে দিয়েছে দুই হাজার ৩৫৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
বলা হয়, তফসিলি ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ করলে বেসরকারি খাতের ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমে আসে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ করলে, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী সময়ে তফসিলি ব্যাংকের কাছ থেকে তা তুলে নিতে না পারে তবে বাজারে নতুন টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়। আর এতে বাড়ে দ্রব্যমূল্য, চাপ বাড়ে মূল্যস্ফীতিতে।
২০১০-১১ অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ করেছিল প্রায় ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা একটি নতুন রেকর্ড। এই ঋণের প্রায় অর্ধেকটা নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছেপে সরকারের এই চাহিদা মিটিয়েছে।
সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি: নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। অথচ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবমতে, গত আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত ৪৩ মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। অর্থাৎ বর্তমান সরকারের সময়ে এটাই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি।
দুই বছর ধরেই মূল্যস্ফীতির চাপ রয়ে গেছে। সরকারও মূল্যস্ফীতির হার কমাতে ব্যর্থ হয়ে মূল্যস্ফীতিকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক এম এ তসলিম বলেন, এর ক্ষতিকারক দিকও আছে। ব্যবসায়ীরা যখন বুঝে নেবেন যে বছর বছর এটা চলবে, তখন তাঁরা তাঁদের পণ্যমূল্যের মধ্যে আগেভাগেই নতুন মূল্যস্ফীতিকে হিসাব করে নেবেন। এতে মূল্য পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
এদিকে, ভর্তুকি সমন্বয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাবে আরেক দফা বাড়বে মূল্যস্ফীতি। মূল্যবৃদ্ধি ইতিমধ্যেই ভোক্তা মূল্যসূচকে গিয়ে যুক্ত হচ্ছে। আবার এর প্রভাব পড়বে উৎপাদনে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে চাপ আরও বাড়াবে।
এম এ তসলিম বলেন, ‘এই অবস্থা কারও জন্যই ভালো হবে না। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের যে অবস্থা তাতে রাজনৈতিক বিবেচনা উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্ত হাতে মুদ্রা ব্যবস্থাপনা করে মূল্যস্তরকে সামাল দিতে পারবে, আমি তা মনে করি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার কোনো পথ আমি দেখছি না। ফলে আগামী দিনে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় সমস্যা থেকেই যাবে।’
লেনদেনের ভারসাম্যেও চাপ: চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে ৯০ কোটি ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এটা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমা শুরু হয়েছে। বর্তমান মজুদ দিয়ে মাত্র দুই মাসের কিছুদিন বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এবার রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ এবং আমদানি ব্যয়ে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশের কাছাকাছি হলে বাণিজ্য ঘাটতি থাকবেই। এর মধ্যে বৈদেশিক সাহায্য ও প্রবাসী-আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে বলে অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন না। এ রকম বাস্তবতায় বিনিময় হারও বাড়বে। এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর টাকা-ডলারের গড় বিনিময়মূল্য ছিল ৬৯ টাকা ৫৮ পয়সা। আর এখন তা ৭৪ টাকা ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ এবারও বেশি দাম দিয়েই পণ্য আমদানি করতে হবে। আর এর চাপ পড়বে আবারও মূল্যস্ফীতিতে।

আয়কর মেলা চার দিনে ১২৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম )- সাত বিভাগীয় শহরে আয়কর মেলার প্রথম চার দিনে ১২৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। পাশাপাশি ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মেলায় এসে কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিয়েছেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

আয়োজক কমিটির সভাপতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আয়কর) এম এ কাদের সরকার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিভাগীয় শহরগুলো আয়োজিত এই মেলায় কেবল ঢাকাতেই চার দিনে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।

"মেলার এখনও দুদিন বাকি। এই মেলা থেকে ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা অর্জিত হবে বলেই আমরা আশা করছি", যোগ করেন কাদের।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এবারের মেলায় বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে উল্লেখ করে আয়োজক কমিটির সভাপতি বলেন, আগামীতে আয়কর মেলার আয়োজন করা হবে আরও বড় পরিসরে।

গত বছর কেবল ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই মেলার আয়োজন করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ওই মেলায় ৫২ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছিল। আর তা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১১৩ কোটি টাকা।

ঢাকায় জমজমাট মেলা

বুধবার আয়কর মেলার চতুর্থ দিনে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে মেলা প্রাঙ্গণে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই মেলায় এসে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। টিন নেওয়ার আবেদন করেছেন।

মিরপুর থেকে মেলায় আসা ব্যাবসায়ী ফজলে রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে যতোটা ভেবেছিলাম ততোটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি।"

একই রকম কথা বললেন খিলগাঁও থেকে আসা ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমও।

অবশ্য জেড আই খান নামের আরেক দর্শনার্থী বললেন, নতুন টিআইএন দেওয়া ছাড়া তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না এই মেলা।

ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক সেবার মান 'ভালো নয়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, "অনেক রাশ হয়ে গেছে। সেবার মান আরো ভাল হলে এটা এড়ানো যেত।"

কর দেওয়ার নিয়ম-কানুন সহজ করে এই সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবার পরিধি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলেও মত প্রকাশ করেন এই করদাতা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/

Thursday, August 11, 2011

ঘুরে দাঁড়াল বিশ্ব শেয়ারবাজার


বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সিউল স্টক এক্সচেঞ্জে একজন ব্রোকারের প্রতিক্রিয়া
বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সিউল স্টক এক্সচেঞ্জে একজন ব্রোকারের প্রতিক্রিয়া
এপি
প্রথম ইতিবাচক সংবাদটা এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা সুদের হার (ফেডারেল ফান্ড রেট) অন্তত ২০১৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিচু পর্যায়ে ধরে রাখবে।
সুদের হার নিচু পর্যায়ে রাখার মানে হলো, ফেডারেল রিজার্ভ খুব স্বল্প সুদে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া। বর্তমানে এই হার শূন্য থেকে দশমিক ২৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। 
মঙ্গলবারের ঘোষণায় নিচু পর্যায়ে ধরে রাখা বলতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার উল্লিখিত সীমার বাইরে নিয়ে যাবে বলে বোঝাতে চেয়েছে। 
মঙ্গলবার যখন এই ঘোষণাটি আসে, তখন আটলান্টিকের এপারে ইউরোপ ও প্রশান্ত মহাসাগরের ওপারে এশিয়া ঘুমিয়ে পড়েছে। 
আর তাই ফেডারেল রিজার্ভের এই ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রভাবটা পড়েছে তাদেরই আর্থিক বাজারে বিশেষত ওয়ালস্ট্রিটে। মঙ্গলবার ওয়ালস্ট্রিটে ডাও জোনস সূচক প্রায় চার শতাংশ বা ৪২৯ পয়েন্ট বেড়ে দিন শেষ করেছে। ফলে ডাও জোনস আবার ১১ হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠে যায়।
এর জের ধরে গতকাল বুধবার প্রথমে এশিয়া, তারপর ইউরোপের শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়ায়। সূর্যোদয়ের দেশ জাপানের টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক নিক্কি এক দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার পয়েন্টের ওপরে গিয়ে শেষ হয়েছে। 
হংকং ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বাজারগুলো গড়ে সোয়া দুই শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে। এ ছাড়া সাংহাই, সিউল, জাকার্তা ও মুম্বাই ঊর্ধ্বমুখী ধারা নিয়ে দিন শেষ করেছে। 
এশিয়ায় যখন মধ্য দুপুর, তখন ইউরোপের বাজার দিনের যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে একটা ইতিবাচক সংবাদ সঙ্গী করে। আর তাই ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক বাজারদর বেড়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ। পাশাপাশি লন্ডনের এফটিএসই-১০০ সূচক প্রায় দেড় শতাংশ আর প্যারিসের ক্যাক সূচক সোয়া এক শতাংশ বেড়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, সুদের হারে কোনো পরিবর্তন না আনার ঘোষণার মধ্য দিযে পুঁজিবাজারে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে এখান থেকে তহবিল অন্যত্র স্থানান্তর করে খুব একটা লাভ হবে না। তবে বেশির ভাগ বিশ্লেষকই বলছেন যে এটা নেহাতই খণ্ডিত ধারণা। কেননা, সুদের হার নিম্নতম পর্যায়ে অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমেরিকা স্বীকার করে নিল যে তাদের অর্থনীতির মন্দাদশা কার্যত অব্যাহত রয়েছে। দেশটির আবাসন খাতে স্থবিরতা চলছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও খুব শ্লথ আর মানুষের খরচও কমেছে।
বরং গত কয়েক দিনে অব্যাহত দরপতনের পর বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর একটা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। ফেডারেল রিজার্ভের ঘোষণা সেই প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন দিয়ে সাময়িক স্বস্তি এনেছে। 
অবশ্য গতকালই খবর আসে যে জুলাই মাসে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে তিন হাজার ১৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। জুন মাসে এই উদ্বৃত্ত ছিল দুই হাজার ২৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক মাসে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে ৪১ শতাংশেরও বেশি।
এর মধ্য দিয়ে এ রকম একটা আভাসও মিলল যে বিশ্ব অর্থনীতি যতটা নাজুক হয়ে গেছে বলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, বাস্তবে ততটা নাজুক হয়নি। 
তবে উচ্চ বাণিজ্য উদ্বৃত্ত চীনা মুদ্রা ইউয়ানের দর ঊর্ধ্বমুখী পুনর্মূল্যায়নের চাপ তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। [সূত্র: বিবিসি ও এফটি]

Monday, August 8, 2011

খাওয়া কম, কথা বেশি


সৃষ্টির রহস্য অপার। একই অঙ্গ দিয়ে আমরা একাধিক কাজ করে থাকি। যেমন ধরুন, কান দিয়ে আমরা শুনি, আবার কানে চশমাও গুঁজি। নাক দিয়ে আমরা শ্বাস নিই, গন্ধ শুঁকি, আবার নাক দিয়ে নাক ডাকি। চোখ দিয়ে দেখি, আবার চোখ দিয়ে অশ্রুপাত করি। মাথা দিয়ে আমরা দেহটাকে চালাই, মাথা খাটাই, আবার মাথাব্যথায় ভুগি। জিভ দিয়েও আমরা একাধিক কাজ করি। জিভের দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে আছে খাওয়া আর কথা বলা।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান আমাদের কম খেতে বলেছেন। কথাটার মধ্যে ন্যায্যতা আছে। ধনী বিশ্বের মানুষ, আমাদের দেশেরও ধনবানেরা না খাওয়ার জন্য যত মরে, বেশি খাওয়ার জন্য মরে তার চেয়ে অনেক বেশি। বেশি খেলে হূদরোগ হয়, রক্তেচাপ বাড়ে। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ১০১টা অসুখের মূলে বেশি খাওয়া, ওজন বাড়িয়ে ফেলা, পরিশ্রম না করা। কাজেই বড়লোকেরা যদি কম খায়, তাতে তাদেরই মঙ্গল। কিন্তু গরিবদের জন্য এই কথাটা উপহাসের মতো শোনায়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, পৃথিবীতে যেসব দেশে পুষ্টিহীনতার সমস্যা সবচেয়ে বেশি, বাংলাদেশ তার অন্যতম। এই দেশে পুষ্টিহীনতার কারণে ৫৪ শতাংশ স্কুল-পূর্ব শিশুর বৃদ্ধি থেমে আছে। এই শিশুর সংখ্যা ৯৫ লাখ। এ দেশে ৫৬ শতাংশ শিশুর ওজন কম। নারীর ক্ষেত্রেও পুষ্টিহীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ তালিকায়। ৫০ শতাংশের বেশি নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন, এফএওর ভাষায়, ভুগছেন ক্রনিক এনার্জি ডেফিসিয়েন্সিতে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী যখন কম খাওয়ার কথা বলেন, তখন মনে হয়, তিনি কাকে বলছেন এবং কখন বলছেন?
প্রথম আলোতেই খবর বেরিয়েছে, কেবল পুষ্টিহীনতায় ভোগা দরিদ্র নয়, সীমিত আয়ের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে পারছে না। তাই খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। জিনিসপাতির দাম খুবই বেড়ে গেছে। অসম্ভব হারে বেড়ে গেছে বাসাভাড়া আর রিকশাভাড়া। ১০ টাকার নিচে ঢাকায় রিকশাভাড়া নেই বললেই চলে। আমি মাঝেমধ্যে ধানমন্ডি থেকে গ্রিনরোড হয়ে পূর্ণিমা সিনেমা হলের গলি পর্যন্ত যাই। আগে ভাড়া ছিল ২৫ টাকা। গত ছয় মাসে এটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়। সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়া চাওয়ার কোনো নির্দিষ্টতা নেই—যখন যেমন, যার কাছ থেকে যত খুশি তাঁরা ভাড়া আদায় করেন। রোজার আগেভাগে বহু তরিতরকারির দাম বেড়েছে অর্ধশত থেকে শতভাগ পর্যন্ত। কেবল আলুর দামটা এখনো কম আছে বলেই মনে হয়। তবু রোজার আগে আলু ছিল ১২ টাকা কেজি, এখন ১৬ থেকে ১৮ টাকা। শতকরা হিসাবে আলুর দামও বেড়েছে ৩৩ থেকে ৫০ শতাংশ। এখন চিন্তা করুন, যে সরকারি কর্মচারী মাসে বেতন পেতেন ১৫ হাজার টাকা, তাঁর আয় তো ছয় মাসে ৫০ শতাংশ বেড়ে ২২ হাজার টাকা হবে না। সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন স্কেল বেসিক ৪১০০ টাকা, সব মিলিয়ে তাঁরা সাত হাজার ২০০ টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকেন। বছরের শেষে তাঁদের বেতন ১৯০ টাকার মতো বাড়ে। ঢাকা শহরে একটা লোক যদি এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় রোজ একবার যাতায়াত করেন, তাহলে তাঁর ২০০ টাকা এমনিতেই বেরিয়ে যাবে। এর মধ্যে তাঁরা বাসাভাড়া কী দেবেন, আর পেটে কী দেবেন, তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। তাঁরা কেবল কম খান তা-ই নয়, তাঁরা দ্বিগুণ পরিশ্রম করেন, অফিস থেকে বেরিয়ে তাঁদের দ্বিতীয় কোনো কাজে লেগে পড়তে হয়, তাঁরা তাঁদের মোমবাতির দুই প্রান্তেই আগুন লাগিয়ে দেন, ক্ষয়ে যেতে থাকেন দ্রুত। ‘নিমঅন্নপূর্ণা’ নামে কমল কুমার মজুমদারের গল্প আছে, আর আছে তা অবলম্বনে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সিনেমা। সেই ছবি শুরুই হয় এ কথা বলে যে পরিবারটি ভদ্রলোকদের, কারণ তারা খবরের কাগজ পড়ে থাকে। সেই খবরের কাগজ পড়া ভদ্রলোক-পরিবারের বধূটি বাড়ির সামনের রাস্তার ভিক্ষুককে মেরে তার চাল ও টাকা কেড়ে নিয়ে এসে পরিজনদের ভাত খেতে দিয়েছিল। আমাদের মধ্যবিত্তরা কীভাবে তাদের দিন গুজরান করছে, সেই হিসাব কোনো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মেলাতে পারবেন না।
শুধু খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে তা নয়—চুলায় গ্যাস নেই, আর ট্যাপে পানি নেই। রামপুরায় মিছিল হয়েছে, কিন্তু উত্তরা থেকে মিরপুর, গুলশান থেকে সেন্ট্রাল রোড, রামপুরা থেকে কলাবাগান, বাড্ডা থেকে মগবাজার—বহু স্থানে বহু বাড়িতে পানি নেই। পত্রিকান্তরে পড়লাম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, না, সমস্যা অত তীব্র নয়, যতটা বলা হচ্ছে। ২৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদা, ২২০ কোটি লিটার উ ৎ পাদিত হচ্ছে। ৩০ কোটি লিটার কম মানে, কত বাড়িতে পানি নেই—একটু হিসাব করলেই বোঝা যাবে। আর যার বাড়িতে পানি নেই, সে যে হিসাব ধুয়ে পানি খাবে, সেই উপায়ও তো তার থাকবে না। এই পানির সংকট দূর করা, দ্রুত ও অস্থায়ীভাবে, সবচেয়ে সোজা। গরমের সময় পানির সংকট হয়। কারণ বিদ্যুতের সংকট হয়, ওয়াসার পাম্পগুলো চলতে পারে না। কারণ সব কটিতে জেনারেটর নেই। ৫৯০টি পাম্পের ২৯৩টিতে জেনারেটর আছে, আর আছে কয়েকটা ভ্রাম্যমাণ জেনারেটর। ২০০ জেনারেটর কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে ২০০৯ সালের জুলাইয়ে। এ বাবদ ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু তা আজও কেনা হয়নি। এই দেশ চলবে কেমন করে?
কিছু নতুন গভীর নলকূপ আর জেনারেটর চালু হলে সমস্যার আপাতত সমাধান হয়ে যায়। যদিও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের দিকে যেতেই হবে। ঢাকার মাটির নিচের পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। ১০ বছর পরে গভীর থেকে গভীরতর নলকূপেও আর পানি উঠবে কি না, সন্দেহ আছে।
তো কথাটা দাঁড়াচ্ছে, আপাতত বহু বাড়ির ট্যাপে পানি পড়ে না। ট্যাংক খালি। কাজেই এই উপদেশও আমরা দিতে পারি, পানিও কম খান। এক কোটি ঢাকাবাসী প্রতিদিন যদি ৩০ লিটার করে পানি কম খায়, তাহলে ৩০ কোটি লিটার পানি বেঁচে যাবে। তাহলে আমাদের প্রতিদিন যে ৩০ কোটি লিটার পানির ঘাটতি, তা আর থাকবে না।
তো আমরা কম খাব, কম পান করব—এ কাজটা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, বেশি কথা বলা। আমাদের বাগ্যন্ত্র, যথা—ওষ্ঠ, জিহ্বা, কণ্ঠ, নাসিকা, দন্ত, তালু আমরা কেবল কথা বলার জন্যই ব্যবহার করি না, খাদ্য গ্রহণ ও পানীয় পান করার জন্যও ব্যবহার করে থাকি। (নাক দিয়ে কীভাবে খাই, প্রশ্ন করতে পারেন। নাক দিয়ে আমরা খাদ্যের ঘ্রাণ নিই। ঘ্রাণেই অর্ধেক ভোজন হয়ে যায়।) তো আমরা যদি দাঁত দিয়ে খাদ্যবস্তু না চিবিয়ে দন্ত্য বর্ণগুলো উচ্চারণ করি, যথা—ত, থ, দ, ধ, ন; ওষ্ঠ দিয়ে খাদ্যবস্তু না চেটে ওষ্ঠ্য বর্ণ যথা—প, ফ, ব, ভ, ম উচ্চারণ করি, তাহলে আমাদের এই অঙ্গগুলো ব্যস্ত থাকে, আমাদের আর খেতে হয় না। আমাদের আর পানও করতে হয় না।
আমাদের মন্ত্রীরা নিজেরা কিন্তু তা-ই করছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই কম খান। কমই যদি তাঁরা না খাবেন, তাহলে তাঁরা এত কথা কখন বলেন, কেমন করে বলেন? এই ক্ষুদ্র কলামলেখক, এই কলামে বহুবার, এমনকি এই মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পরপরই প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় লিখে এই আবেদন জানিয়েছেন যে মন্ত্রীরা যেন দয়া করে কথা কম বলেন। যেন তাঁরা টেলিভিশনের চোঙাটা দেখামাত্র দাঁড়িয়ে পড়ে চুলটা আঁচড়ে নিয়েই কথা বলতে শুরু না করেন এবং টেলিভিশনগুলোর নৈশকালীন টক শো, মিষ্টি শোগুলোয় একটু কম কম যান। কিন্তু মন্ত্রীরা নিশ্চয়ই কলামলেখকদের তুলনায় বেশি জানেন আর বেশি বোঝেন। কাজেই তাঁরা কথা বলেই চলেছেন। কথা বললে স্লিপ অব টাং হবেই। আর যখন আপনি কার্যক্ষেত্রে সাফল্য দেখাতে পারবেন না, তখন আপনার অতিশয় মিষ্ট কথাও বড্ড তেতো বলে মনে হবে শ্রোতাদের কাছে।
কম খাওয়ার উপদেশটা যে বিজ্ঞজনোচিত ও স্বাস্থ্যকর, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু কে বলছেন, কখন বলছেন, কাদের বলছেন এবং কথাটার আগে-পরে তিনি কী প্রেক্ষাপট তৈরি করে নিয়েছেন, এটা নিশ্চয়ই বিবেচ্য। গরিব মানুষকে তিনি কম খেতে বলেননি, অপুষ্টিতে ভোগা ৫৪ শতাংশ শিশুকে তিনি কম খাবার দিতে বলেননি—কম খেতে বলেছেন তাদের, যারা খাওয়ার চেয়ে ফেলে বেশি, অপচয় করে বেশি। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, টিসিবি কেন খেজুর আমদানি করতে গেল, আর চিনি ও তেলের সঙ্গে খেজুর কেনাটা কেন বাধ্যতামূলক করতে গেল। বাঙালিকে ডাল-ভাতের সঙ্গে খেজুর খাওয়ানোটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মসূচির কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের অংশ, ঠিক বুঝতে পারলাম না। মাননীয় অর্থমন্ত্রী যে বলেছেন, একদিন অন্তত বাজারে না গেলেই সবকিছুর দাম কমে যেতে বাধ্য, সেটাও ঠিক। কিন্তু সেটা কি একা করার মতো একটা কাজ, আর বলার মতো একটা কথা? এটা কি বাস্তবে হয় যে সবাই মিলে একদিন চিনি কেনা বন্ধ করে দেব?
যা হোক, কম খান, একদিন বাজার করা বন্ধ করুন—এসব কথা কেবল বড়লোকদেরই বলা যায়, আর বলা যায় ক্ষমতাসীন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের। অর্থা ৎ বলা যায়, নিজেদের। তাঁরা বলতে পারেন, আমি আজ সারা দিন এক ফোঁটা চিনিও খাব না। তাঁরা বলতে পারেন, আমরা সাংসদেরা ঠিক করেছি, আজকের দিনে আমরা বাজারমুখো হব না। সে ক্ষেত্রে মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী, দুজনই আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় ও প্রিয়, আপনারা কি একটা কাজ করতে পারেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে কি বলবেন, ‘আপনারা ইফতার পার্টি দেওয়া বন্ধ করুন’? যখন আমরা দেশের মানুষকে কম খেতে ও কম বাজারে যেতে বলছি, তখন এ রকম ঘটা করে ইফতার পার্টির আয়োজন কি চরম পরিহাস নয়?
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত ২ টাকার নোট আসছে

 বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত দুই টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বাজারে আসছে ১১ অগাস্ট।

সোমবার এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিকভাবে মতিঝিল অফিস থেকে নতুন নকশার এই নোট ইস্যু করবে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও তা পাওয়া যাবে।

অর্থ সচিব মোহাম্মদ তারেকের স্বাক্ষর সম্বলিত ১০০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যরে এবং ৬০ মিলিমিটার প্রস্থের এই নোটে ২ মিলিমিটার চওড়া 'সিকিউরিটি থ্রেড' থাকবে। নোটের সামনের অংশে বামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতি সৌধের ছবি এবং ডান পাশে জলছাপে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও সরকারের প্রতীক রয়েছে।

এছাড়া নোটের উপরের কোনায় জাতীয় প্রতীক শাপলা এবং উল্টোপিঠে ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি রয়েছে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ১০ ও ৫০০ টাকার নোট ছাপে। আর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত এক, দুই ও পাঁচ টাকার কয়েন চালু করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।

দুই টাকার নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত দুই টাকার কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে বলে তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/

 ‘বিক্ষোভকারীরা ফাটকাবাজ’


শেয়ারবাজারে বিক্ষোভকারীদের ‘ফাটকাবাজ’ বলে অভিহিত করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি তাঁদের বাজার থেকে চলে যেতেও বলেছেন। 
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল (শনিবার) বলেছি এবং আজও বলছি, প্রকৃত বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেন না। যারা বিক্ষোভ করছে, তারা বিনিয়োগকারীই না। তারা এখানে ফাটকাবাজি করতে এসেছে। কেন তারা আশা করছে যে প্রতিদিন শেয়ারের দাম বাড়বে? এরা বাজার থেকে বেরিয়ে গেলেই ভালো।’
এই বক্তব্যের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের এই সময়ে তাঁদের শেয়ার বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছেন। 
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ চা-সংসদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই বৈঠকের আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে বাজার নিয়ে আলাদা একটি বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। 
বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকটি বিশেষ কোনো কারণে ডাকা হয়নি। কয়দিন দেশের বাইরে ছিলাম। যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিলাম যে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিটি যেন চূড়ান্ত করা হয়। সেটার কী হলো, আর হঠাৎ কেন শেয়ারের দামই বা পড়ে গেল—এসব খোঁজখবর নিতে এসইসির চেয়ারম্যানকে ডেকেছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলছে, আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগের ঘটনায় বাজারে প্রভাব পড়ছে। শুনেছি, আজও বিক্ষোভ হয়েছে।’ এ কথার বলার পরই তিনি বিক্ষোভকারীদের ফাটকাবাজ আখ্যা দিয়ে চলে যেতে বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান এসইসি একটি সম্পূর্ণ নতুন কমিশন। তার নিজের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ করছে, কিছু আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে। 
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব পুঁজিবাজারের সঙ্গে দেশীয় বাজারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্পর্ক রয়েছে।’ 
প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে আপনি কী বলবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা শেয়ার ধরে রাখবেন। হঠাৎ করে দাম কমে গেলেই বিক্রি করে দেবেন না।’ গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক পতন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা কী? এখনো তো বাজারের সূচক ছয় হাজারেরও বেশি।’

Sunday, August 7, 2011

শেয়ারবাজারে দরপতনে বিক্ষোভ, অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি


শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে আজ রোববারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেন। দুপুর ১২টার দিকে সূচক ১৬১ পয়েন্ট কমে গেলে তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। বেলা দুইটার দিকে বিক্ষোভ শেষ হয়। এ সময় শেয়ারবাজারে দরপতনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তাঁরা এ বিক্ষোভ করেন। 
দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত ছিল। আজ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১৩৯.৭৪ পয়েন্ট কমে ৬,১২০.১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। 
আজ হাতবদল হওয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ২২০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে নয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ ডিএসইতে ৫৬০ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো, এনবিএল, তিতাস গ্যাস, এমআই সিমেন্ট, কেয়া 

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More