পবিত্র রমজানে অপরিহার্য পণ্য ছোলার দাম এখনো চড়া। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে চিনি ও ভোজ্যতেলের অস্থিরতা কাটলেও ছোলার বাজারে তার ছাপ নেই।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম কমেছে, কিন্তু তার কোনো লক্ষণ খুচরা বাজারে দেখা যাচ্ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ছোলার চড়া দাম দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা সাধারণ মানের ছোলা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর মিয়ানমারের অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের ছোলার দাম ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশই (টিসিবি) বলছে, গত এক মাসেই ছোলার দাম বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন থেকে সাড়ে তিন মাস আগেও ছোলার দাম ছিল মাত্র ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, এখন অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা সাধারণ মানের ছোলার আমদানি ব্যয় পড়ে কেজিতে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা। মিয়ানমার থেকে আনা ছোলা সাড়ে ৫৮ থেকে সাড়ে ৫৯ এবং ইথিওপিয়া থেকে আমদানি করা ছোলার খরচ পড়ছে ৪৯ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫৩ টাকা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ছোলা চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। মিয়ানমারের ছোলা ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। আর ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ এবং মিয়ানমারের ছোলা ৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কেন ছোলার বাজারের এই অবস্থা, সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে আমদানিকারকেরা বললেন সরবরাহের ঘাটতির কথা। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকেরা বলেন, শুধু রমজানেই দেশে ছোলার চাহিদা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টন। কিন্তু গত পাঁচ মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৭ হাজার টন। এর বেশির ভাগই আবার বিক্রি হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, গত বছরের জুনে ছোলা আমদানি করা হয়েছিল ৪৫ হাজার টন। এ বছরের জুনে আমদানি হয়েছে মাত্র নয় হাজার টন। এর কারণ হিসেবে ওই সূত্র বলছে, বাংলাদেশে ছোলা আমদানির প্রধান উৎস (৯৫ শতাংশ) অস্ট্রেলিয়ায় বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো মানের ছোলার অভাব দেখা দিয়েছে। দামও বেড়েছে। এ কারণে দেশেও ছোলার দাম বেশ চড়া।
চলতি মাসে নয় হাজার ১৬৯ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। তবে আগামী দুই সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া, ইথিওপিয়া ও মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ ছোলা আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারিতে কমেছে: গতকাল রাজধানীর রহমতগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ডালপট্টিতে সাধারণ ছোলা পাইকারি ৫৮ থেকে ৬০ এবং উন্নতমানেরটি সর্বোচ্চ ৭১ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই ধরনের ছোলাতেই কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা দাম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দাম আরও কম। সেখানে সাধারণ ছোলা ৫৩ ও উন্নতমানের ছোলা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল বশর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাধারণ মানের ছোলা ৫৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী এর চেয়েও কম দামে বিক্রি করছেন।
‘নারায়ণগঞ্জ জেলা ডাল ভুষা মাল ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপ’-এর নির্বাহী পরিচালক ও বেঙ্গল ট্রেডার্সের মালিক বিকাশ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামে ডাল আমদানিকারকদের ওপর সরকারি নজরদারি বাড়ানোর কারণে ছোলার দাম কমে এসেছে।
বন্দরনগরে দাম কম হলেও খুচরা বাজারে তার প্রতিফলন নেই কেন জানতে চাইলে একজন আমদানিকারক বলেন, তাঁরা খুব বেশি লাভে ছোলা বিক্রি করছেন না। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারাই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। পাইকারেরা বলছেন, ছোলার দাম কমেছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা দিচ্ছেন পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কেনার অজুহাত।
তবে সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাই একটি বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। তা হলো রোজার বাড়তি চাহিদা বুঝে অতিরিক্ত মুনাফা করার মানসিকতা থেকেই দাম বাড়ানো হচ্ছে পণ্যটির।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম কমেছে, কিন্তু তার কোনো লক্ষণ খুচরা বাজারে দেখা যাচ্ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ছোলার চড়া দাম দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা সাধারণ মানের ছোলা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর মিয়ানমারের অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের ছোলার দাম ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশই (টিসিবি) বলছে, গত এক মাসেই ছোলার দাম বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন থেকে সাড়ে তিন মাস আগেও ছোলার দাম ছিল মাত্র ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, এখন অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা সাধারণ মানের ছোলার আমদানি ব্যয় পড়ে কেজিতে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা। মিয়ানমার থেকে আনা ছোলা সাড়ে ৫৮ থেকে সাড়ে ৫৯ এবং ইথিওপিয়া থেকে আমদানি করা ছোলার খরচ পড়ছে ৪৯ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫৩ টাকা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ছোলা চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। মিয়ানমারের ছোলা ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। আর ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ এবং মিয়ানমারের ছোলা ৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কেন ছোলার বাজারের এই অবস্থা, সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে আমদানিকারকেরা বললেন সরবরাহের ঘাটতির কথা। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকেরা বলেন, শুধু রমজানেই দেশে ছোলার চাহিদা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টন। কিন্তু গত পাঁচ মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৭ হাজার টন। এর বেশির ভাগই আবার বিক্রি হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, গত বছরের জুনে ছোলা আমদানি করা হয়েছিল ৪৫ হাজার টন। এ বছরের জুনে আমদানি হয়েছে মাত্র নয় হাজার টন। এর কারণ হিসেবে ওই সূত্র বলছে, বাংলাদেশে ছোলা আমদানির প্রধান উৎস (৯৫ শতাংশ) অস্ট্রেলিয়ায় বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো মানের ছোলার অভাব দেখা দিয়েছে। দামও বেড়েছে। এ কারণে দেশেও ছোলার দাম বেশ চড়া।
চলতি মাসে নয় হাজার ১৬৯ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। তবে আগামী দুই সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া, ইথিওপিয়া ও মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ ছোলা আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারিতে কমেছে: গতকাল রাজধানীর রহমতগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ডালপট্টিতে সাধারণ ছোলা পাইকারি ৫৮ থেকে ৬০ এবং উন্নতমানেরটি সর্বোচ্চ ৭১ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই ধরনের ছোলাতেই কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা দাম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দাম আরও কম। সেখানে সাধারণ ছোলা ৫৩ ও উন্নতমানের ছোলা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল বশর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাধারণ মানের ছোলা ৫৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী এর চেয়েও কম দামে বিক্রি করছেন।
‘নারায়ণগঞ্জ জেলা ডাল ভুষা মাল ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপ’-এর নির্বাহী পরিচালক ও বেঙ্গল ট্রেডার্সের মালিক বিকাশ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামে ডাল আমদানিকারকদের ওপর সরকারি নজরদারি বাড়ানোর কারণে ছোলার দাম কমে এসেছে।
বন্দরনগরে দাম কম হলেও খুচরা বাজারে তার প্রতিফলন নেই কেন জানতে চাইলে একজন আমদানিকারক বলেন, তাঁরা খুব বেশি লাভে ছোলা বিক্রি করছেন না। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারাই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। পাইকারেরা বলছেন, ছোলার দাম কমেছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা দিচ্ছেন পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কেনার অজুহাত।
তবে সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাই একটি বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। তা হলো রোজার বাড়তি চাহিদা বুঝে অতিরিক্ত মুনাফা করার মানসিকতা থেকেই দাম বাড়ানো হচ্ছে পণ্যটির।
0 comments:
Post a Comment